Project: Sea to himalaya
Part 01: Cross country hiking || Bangladesh
Day 06
Date: 04 December 2024
Distance: 40.13km
রোডঃ টইটং বাজার - প্রেম বাজার - চাম্বল - জলদি - গুনাগারি - চাদপুর - তৈলার দ্বীপ সেতু - আনোয়ারার চেয়ারম্যান।
আলহামদুলিল্লাহ শরীর বেশ দারুণ ভাবে সঙ্গ দিয়েছে আজকে। পেকুয়া’র যেখানে শেষ করেছিলাম গতকাল সেখান থেকে শুরু করে বাঁশখালী শেষ করে আনোয়ার কিছু পথ হেঁটে আজকের মতো সমাপ্তি টানলাম।
শুরুটা হয় প্রত্যেক দিনের মতো ৪টাই এলার্ম অফ করে আরো কিছুক্ষণ শুয়ে ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে , ফ্রেশ হয়ে, নামাজ সম্পন্ন করে, ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে, খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে বেরিয়ে যাওয়া। যথারিতি সকল নিয়ম ঠিক ছিলো। শুধুমাত্র পরিবর্তন হলো ড্রেসাপ কিছু নিয়ম কানুন।
যেহেতু বাড়িতে এসেছি তাই মা বললো ব্যাগ নিওনা আজকে যতটুকু যাবা শেষ করে ডাইরেক্ট গাড়ি নিয়ে আবারো বাড়ি তে চলে আসবা। মা’য়ের কথার উপর তো আর কথা হয় না। তাই মা’র ছোট ব্যাগে মেডিসিন আর মোজা নিয়ে নিলাম। ভাবিদের মুখ বন্ধ করতে নতুন জামা কাপড় পড়লাম
সাথে লাকির কাছ থেকে কালো ওড়না আর মাস্ক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে চাচাতো ভাইয়ের ছেলের অটোরিকশা তারপর আবার চাচাতো ভাইয়ের ছেলের সিএনজিতে করেই গন্তব্যে পৌঁছলাম। এর মাঝে গাড়িতেই আরো কয়েকটা ভাইপো ফোনে কথা বললো শুভেচ্ছা জানালো।
আজকের সকাল টা খুবই স্পেশাল আর সূর্য টা এতো চমৎকার রূপে সেজেছে এমন সকাল গুলো হয়তো এই জার্নি শেষ হওয়ার পর বড্ড মিস করবো।
যাইহোক মূল গন্তব্য টইটং থেকে শুরু করলাম তখন সকাল ৭ঃ২০
ভিডিও ছবি টুকটাক করে হাইকিং শুরু করলাম। আজকে আমি একা। ইকবাল ভাই জয়েন্ট হওয়ার কথা হয়তো সময় লাগবে আসতে। ধীরে ধীরে আগাচ্ছি শীতল হাওয়া সাথে একটা দুইটা গাড়ি রাস্তায়। রাস্তার দুইপাশে ঘরবাড়ি আছে। কিন্তু মানুষের আনাগোনা খুবই কম। সামনে কিছু দোকান ছিলো সেখান থেকে কিছু সেলাইন আর এক লিটার পানি কিনে নিলাম। যেহেতু আমার পানির বোতল টা খরচের খাতায় চলে গেছে।
প্রায় ৮টা বাজে তখন রাস্তার পাশের একটা ঘরের টয়লেট ব্যবহার করলাম। আশেপাশে ঘরবাড়ি আছে বা গ্রামীণ পরিবেশ এমন জায়গা দিয়ে চলাফেরা করার সময় টয়লেট নিয়ে কখনো ভাবতে হয় না। এইটা একটা বিশাল সুবিধা।
রাস্তার দুইপাশে ধানের খেত এর উপর সুর্যের আলোটা চকচক করছে একদম। যেহেতু একা আছি খুব দ্রুত পথ আগাচ্ছে। নিজেই নিজের সাথে কথা বলতে বলতে পেকুয়া পার হয়ে বাঁশখালীর প্রেম বাজারের কাছাকাছি চলে আসছি।
প্রেম বাজারের ঠিক আগে একটা সিএনজির ড্রাইভার এক প্রকার সে আমার সাথে দাড়িয়ে কথা বলবেই। ঠিক আছে আমিও দাড়ালাম। বললাম জি বলেন। তার কথা একটাই গাড়ি তে উঠেন। তারে অনেক বুঝিয়ে অনেক বললাম আমি হেঁটে যাবো ভাই। আমার টাকাও আছে আমার কোনো সমস্যাই হয়নি আমি এমনিতেই হেঁটে যাচ্ছি। পরে এক প্রকার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় বললাম কি সমস্যা আপনার আমি যাবো না বললাম তো আপনাকে। পরে বলে ফোন নাম্বার দেন আপনার। এইটা বলছে আর আমার মাথার রক্ত আরো গরম হয়ে গেলো। মানে সোজা বাংলায় সে ইচ্ছেকৃত ভাবে আমার সাথে ফাজলামি করতেছে। আমি সেল্ফ ডিফেন্স স্প্রে সব সময় হাতের কাছে রাখি। যাইহোক সেটা আর হাতে নিতে হলো না। কয়েকটা আংকেল এগিয়ে এসে তারে ইচ্ছেমতো শায়েস্তা করলো আর আমাকে বললো যাও মা। একজন আমাকে নিউজে দেখেছে।তাই আর প্রশ্ন করলো না কেনো হাটছি।
যাক আগাতে আগাতে প্রেম বাজারের জোর পূর্বক প্রেম নিবেদনের কাহিনী শেষ করে স্কুল ,মাদ্রাসা,কলেজ, বিল ,খাল ,লবণের মাঠ পাড়ি দিয়ে বাঁশখালী ইকো পার্ক এ যাওয়ার রাস্তা মানে মনছুরিয়া বাজার ক্রস করে এগিয়ে যেতে যেতেই দেখা হলো মোহাম্মদ আমান উল্লাহ ভাইয়ের সাথে। কথাবার্তা হলো জলদি গিয়ে আবার দেখা হবে বলে বিদায় দিলাম। দ্রুত হেঁটে চেনা পথ গুলো অতিক্রম করে জলদি চলে আসছি। মাহাজনঘাটা থেকে আমান ভাই জয়েন্ট হলো। জলদি এসে চা,নাস্তা করতে করতেই Iqbal Aziz Bd ভাই চলে আসে। সেজুর দোকানের পাশে দাড়াতে বললাম।
বাঁশখালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই আমার পড়াশোনা। স্কুলের সামনে আসলাম সেজুর সাথে দেখা হলো। ওখানে প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সেরে সেজুর দেওয়া শশা খেয়ে আবারো রওনা দিলাম।
শহরের উপর দিয়ে হাটছি। শহর মানেই অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা। ড্রাইভার দের ডাকাডাকি আর ময়লা , ধুলাবালি সেতো থাকবেই। যত সম্ভব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। মাঝখানে সেজু ভাইয়ের বন্ধু জুবায়ের ভাইয়ের সাথেও ফোনে কথা হলো। ভাইয়া আমাকে ডাকছে আমি খেয়াল করিনি।
একটা লাইনের রাস্তা। তাই সাবধানে গাড়ি দেখে আগাচ্ছি দ্রুত হেঁটে জলদি মিয়ার বাজার এইসব শেষ করলাম। রাস্তায় মোটামুটি ছায়া আছে, ঘরবাড়ি ওয় আছে। তাই রোদ টা খুব একটা লাগছে না।
গুনাগারি তে পৌছালাম তখন প্রায় দুপুর ১টা। ওখান থেকে কলা কিনে নিলাম। ইকবাল ভাই হাটছে ঠিকই কিন্তু ভাইয়ার সাথে আমার দুরত্ব প্রায় ১/২ কিলোমিটার এর মতো।
যাত্রাপথ খুবই দারুণ যেহেতু এক লাইনের রাস্তা তাই সাবধান এ পথ চলা। যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ পড়বে বাজার অনেক বেশি, সাথে ছায়াযুক্ত দারুণ রাস্তা। কোথাও সমস্যা ফেইস করবেন বলে মনে হয়নি একবারো।
রাস্তায় খাবারের অনেক দোকান আছে। চা নাস্তা খাওয়া যায় প্রায়।ডাব পাওয়া যায় বেশকিছু জায়গায়। পানি সংগ্রহের জায়গাও আছে।
প্রায় ৪টা তৈলার দ্বীপ সেতুর উপর পৌছালাম। তখন ৩৭ কিলোমিটার এর কিছু টা বেশি হলো। হাতে যথেষ্ট সময় আছে। ব্রিজে উঠার আগে একটা দোকান থেকে পেঁপে কিনে রাখলাম। আসার সময় সংগ্রহ করবো বলে ওই দোকানে রাখলাম।
যেহেতু হাতে সময় আছে তাই আনোয়ারাতে কিছু পথ হাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে গেলাম। চট্টগ্রাম ২২ কিলোমিটার লেখা সাইনের পরের ব্রিজে গিয়ে ৪০ কিলোমিটার সম্পন্ন করলাম।
আর আগের মোড়ে দেখা হয়ে গেলো এক ভাইয়ার সাথে নামটা আমার ঠিক মনে নেই। ওই জায়গাতেই ডাঃ ফেরদৌসী আন্টির সাথেও দেখা হলেন।
ওখান থেকে গাড়িতে করে বাড়িতে চলে আসলাম।
আজকের মতো যাত্রা এখানেই সম্পন্ন হলো।
আগামীকাল রেস্ট ডে।
Youtube:https://youtube.com/@tsrekha?si=Uo1ygW3Ga3fI-zxr
Others platform account: Ts Rekha
Cross country hiking Bangladesh 2024
Sponsor: Zoom Wild || Zoom Wild
#crosscountryhiking2024
#crosscountryhikingbangladesh
#Promote_positivity_and_walk_for_a_healthy_life
#zoomwild
#teknaf_tetulia
#ts_rekha
#পায়ে_হেঁটে_টেকনাফ_থেকে_তেঁতুলিয়া
#পায়ে_হেঁটে_বাংলাদেশ