বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনের একাংশ ঘুরে এলাম করমজল পয়েন্ট হতে। ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে খুলনা, খুলনা থেকে মোংলা। মোংলা বাসস্ট্যান্ডে নেমেই করমজল, দুবলার চর যাবার বোট মিলে। বোটে উঠানোর জন্য প্রচুর দালাল রয়েছে এখানে তাই একটু সাবধানী হতে হয় এখানে।
বাসস্ট্যান্ড থেকে বোট ঘাট যাবার ব্রিজ। তবে এই ঘাট ব্যাতীতও আশেপাশের অস্থায়ী ঘাট হতে লোক উঠায় দালালেরা।
ঘাটে অপেক্ষামান বোটগুলো। এই বোটগুলো অনেক রোলিং করে চ্যানেল ধরে যাবার পথে। বড় বড় কার্গো শিপ বা ছোটখাটো ট্রলারের ঢেউয়ে অনেক বেশি দুলে কাত হয়ে যাবার উপক্রম হয়।
করমজল পয়েন্টে ঢোকার এন্ট্রি ফির তালিকা।
১২০০ মিটার বনের মধ্যে হাটার জন্য একটি ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে
এবং উপর থেকে বনের দৃশ্য দেখার জন্য ২ টি ওয়াচ-টাওয়ার আছে।
বনের ভেতরে খালের উপর দৃষ্টিনন্দন একটি ব্রিজ রয়েছে।
ওয়াচটাওয়ারের উপর থেকে তোলা ব্রিজের ছবি।
এখানে খাচার পোরা অনেক কুমির এবং হরিন আছে যা বাচ্চাদের অনেক আনন্দ দেয়।
এছাড়াও বড় বড় দুইটি পুকুরে কুমির ছেড়ে রেখেছে যেগুলো নাক উঁচু করে পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছিল।
বনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটির দিন ব্যাতীত আসা দরকার। প্রচুর দর্শনার্থী ছিল সবখানে যার জন্য কোথাও গিয়ে একটু স্বস্তি নিয়ে কিছু উপভোগ করার উপায় ছিল না।
তবে স্বস্তি পেয়েছি মোংলা স্টেশনে এসে। করমজল থেকে ফিরে লাঞ্চ সেরে চলে এসেছিলাম আমরা নিরব নির্জন মোংলা রেল স্টেশনে। বলে রাখা ভাল এখানে লাঞ্চের জন্য অত ভালমানের রেস্টুরেন্ট নেই। সবই মোটামুটি মানের কোনমতে একবেলা খেয়ে ঘুরার জন্য চলনসই আরকি!
স্টেশনটি ঘাট বা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাঁটাপথে ১০ মিনিটের দূরত্ব। অটোতে ৩ মিনিট সর্বোচ্চ।
এখানে সারাদিনে মাত্র একটি ট্রেন আসে এবং ছেড়ে যায়।
সামগ্রিকভাবে চমৎকার একটি ভ্রমণ ছিল আমাদের গ্রুপের। ঘুরতে বের হলে সবকিছু আপনার চাহিদামাফিক বা সব পরিস্থিতি অনূকুলে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ঘরে বসে থাকলে কি চলবে! প্রচুর ঘুরতে হবে

হ্যাপি ট্র্যাভেলিং
