মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ সদর থানার বেতিলায় অবস্থিত বেতিলা জমিদার বাড়ি (Betila Zamindar Bari) । বেতিলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বেতিলা খাল। এই বেতিলা খালই একসময় ছিল প্রবল খরস্রোতা । নানান বজরা , মহাজনী নৌকা আসা যাওয়া করতো ধলেশ্বরী আর কালি গঙ্গার নদীর পথে । এই ধলেশ্বরী আর কালিগঙ্গা কে সংযুক্ত করেছে বেতিলা খাল। ছিল। তৎকালীন সময়ে বড় বড় ব্যবসায়ীরা বেতিলা খালকে নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করতেন। এই নিরাপদ নৌরুট বেছে নিয়েছিলেন জ্যোতি বাবু বা সত্য বাবুর মতো বড় বড় বণিকেরা ।
এবাড়ির ইতিহাস খুব একটা পরিচিত নয়, তথ্য গত অভাবতাই প্রকট। নেট বা বইপত্র ঘেঁটে বিশেষ কোন কিছুই পাওয়া যায়না । সামান্য কিছু তথ্য উপাত্তের পাশাপাশি আপাতত স্থানীয় লোকজনের মুখে আর এখনকার বসবাসরত বাসিন্দাদের কাছ থেকে শোনা গল্পই ভরসা ।
জ্যোতি বাবু নামের কোলকাতার বণিক এই জমিদার বাড়ির পুর্বপুরুষ। তিনি ছিলেন মূলত পাটের বণিক। ধারণা করা যায় এই এলাকার পাটের ব্যবসায়ের সুবিধার কারণে এ অঞ্চলে তাঁর আগমন আর পাটের বণিক জ্যো তিবাবুর কোলকা তার ব্যবসা আর বাড়ির এক্সটেনশন হচ্ছে এই বেতিলা জমিদার বাড়ি ।
কিভাবে যাবেন:
রাজধানী ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে পদ্মা লাইন, সেলফি এবং নীলাচল বা হিমাচল পরিবহন টি (ঢাকার চিটাগাং রোড থেকে ধানমন্ডি, গাবতলী হয়ে মানিকগঞ্জ, পাটুরিয়া ঘাট) পর্যন্ত যায়। আপনার বাসা যদি ঢাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি গাবতলী না গিয়ে কলাবাগান থেকে বাসে উঠতে পারবেন। কলাবাগান থেকে বাস ভাড়া পড়বে ১৮০ টাকা এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ভাড়া পড়বে ১২০ টাকা। মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে বেতিলা বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত বাইক, রিকশাতে যাওয়া যায় । আপনি চাইলে পুরো একদিনের জন্য রিক্সা রিজার্ভ করে নিতে পারেন, এতে আপনার কাছ থেকে ভাড়া প্রায় ৫০০ টাকার নিবে। এই বাজেটের মধ্যে আপনি প্রায় চার থেকে পাঁচটি স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন ।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা:
বেতিলা জমিদার বাড়ি রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় দিনে গিয়ে ফিরে আসা সম্ভব। তবে মানিকগঞ্জ শহরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল পাওয়া যায়। খাওয়ার জন্য এখানে সাধারণ ও মাঝারি মানের কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া মানিকগঞ্জ গেলে অবশ্যই পলাশ ভাইয়ের পান্তুুয়া এবং দধি খেতে ভুলবেন না এই পান্তুয়া রয়েছে অনেক ইতিহাস।